বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা। গত এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা। সে হিসাবে শুধু এক সপ্তাহের ব্যবধানে রান্নায় অতি প্রয়োজনীয় এ মসলা জাতীয় পণ্যটির প্রতিকেজি দাম বেড়েছে ৯৫ টাকা। তবে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও মসলা জাতীয় পণ্য আদা-রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি, ফকিরাপুল কাঁচাবাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, রামপুরা কাঁচাবাজার, খিলগাঁও রেলগেট বাজার কাঁচাবাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
বর্তমানে এসব বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১৫ টাকা কেজি দরে। মিশর থেকে আমদানি করা প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে। এদিকে, রাজধানীর শ্যাম বাজার পাইকারি বাজারে দেশি প্রতিকেজি পেঁয়াজ আকারভেদে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা, মিয়ানমারের আকারভেদে ১৮০ থেকে ১৬০ টাকা, মিশরের পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারে পাইকারি দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি আকারভেদে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা, মিশরের পেঁয়াজ ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অথচ এক সপ্তাহ আগে বাজারভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। মোটা পেঁয়াজ প্রতিকেজি (আমদানি করা) বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা।
পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
রাজধানীর শ্যামবাজার পাইকারি বিক্রেতা এবং অভিসার বাণিজ্যলয়ের ম্যানেজার টিটন রায় বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের আমদানি কম। আগে প্রতিদিন ভারত থেকে ৩০০ ট্রাক পেঁয়াজ আসতো। বর্তমানে না আসায় দাম বাড়ছে। সরবরাহ বাড়লে আবারও দাম কমে যাবে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।
শামীম আহমেদ নামে খিলগাঁও বাজারের এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় গত চার মাস ধরে ইচ্ছে মতো পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন। আবার সরকারিভাবে বাজার মনিটরিং হলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসতো।
এদিকে, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকসেলে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। সরকারি বন্ধের দিন ছাড়া ট্রাকসেলে প্রতিদিন ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ট্রাকসেলে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।
-বাংলানিউজ