এমপি এনামুলের স্ত্রীর স্বীকৃতি চান লিজা

রাজশাহী-৪ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ে করে প্রতারণা ও ভ্রুণ হত্যার অভিযোগ করেছেন লিজা আয়েশা নামের এক নারী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এসব অভিযোগ করে একটি পোস্ট করেন লিজা।

লিজা আয়েশা তার ফেসবুকে অভিযোগ করে লিখেন, এমপি সাহেবের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয় ২০১২ সালে। উনি প্রথম আমাকে ভালোবাসি বলেছিলেন আমিও উনার কথাই মুগ্ধ হয়ে উনার প্রেমে পড়ে ছিলাম।পারিবারিক ভাবেই আমাদের বিয়ে হয় উনার বাগমাড়ার নীজ বাসভবনে কিন্তু বিয়ের সময় উনি বলেছিলেন এখন আমাদের বিয়েটা রেজেস্ট্রি করা যাবে না কারণ এতে নমিনেশন পেতে সমস্যা হবে। আমি উনার কথা বিশ্বাস করে উনার কথা মেনে নিয়ে এতো বছর সংসার করেছি। বিয়ের দুই বছর পর ২০১৫ সালে আমি বেবী কনসিভ করি কিন্তু উনি আমাকে বলে এ মুহুর্তে বাচ্চা নিতে পারবেন না নির্বাচনের পর নিবেন। আমিও এমপি সাহেবের ভালো হবে এই চিন্তা করে বাচ্চা নষ্ট করে দেই। এমপি সাহেব আমাকে বললেন তাঁর নমিনেশন পেতে এখন আর কোন বাঁধা নেই তাই বিয়ের রেজেস্ট্রি করা যাবে। ২০১৮ সালের মে মাসের ১১ তারিখ আমারা রেজেস্ট্রি করে পুনরায় বিয়ে করে করি। আট বছর এমপি সাহেবের সাথে কাটিয়েছি তাঁর সাথে সংসার করেছি। এমপি সাহেব আমাকে কথা দেন নির্বাচনের পর আমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিবেন এবং বাচ্চা নিবেন আমি সেই অপেক্ষায় এতোগুলো বছর নীরব ছিলাম। এখন আমি সুবিচারের আশায় জনগণের সামনে নিজেকে প্রকাশ করেছি।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমাদের ডিভোর্স হয়নি। উনার স্বাক্ষরকৃত কোন ডিভোর্স লেটারও পাইনি।আমি সঠিক বিচার চাই। আমি আমার স্বামীকে ফিরে পেতে চাই। আমি আমার সংসার ফিরে পেতে চাই।একজন সংসদ সদস্য হয়ে তিনি একটা মেয়ের জীবন নিয়ে এইভাবে খেলা করতে পারেন না। আমার কাছে সকল প্রমাণ আছে। উনি কেন আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন আমি মুখ খুললে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে দেওয়া হবে উনি কেন সাংবাদিক দের বলছেন আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। আমি কি অপরাধ করেছি আপনারা আমাকে বলেন। আমি আমার অধিকার চেয়েছি, আমি বউয়ের মর্যাদা চেয়েছি, মাননীয় সংসদ সদস্য আমাকে বউ হিসেবে স্বীকার করুক মেনে নিক আমি শুধু এইটাই চেয়েছি।

তিনি অভিযোগ করেন, আজ থেকে চারদিন আগে এমপি সাহেব আমার স্বাক্ষর জাল করে একটা ডিভোর্স কপি তৈরী করে আমাকে দিয়ে বলেছিলেন আমি নাকি তাকে জানুয়ারীর ছয় তারিখে ডিভোর্স দিয়েছি সেই কাগজ উনি পেয়েছেন। অথচ ঈদের চার দিন আগে আমাকে আমার সংসদ সদস্য স্বামী বিকাশ করে ঈদের খরচ পাঠাইতে চেয়ে ছিলেন সেই এসএমএসও আমার কাছে আছে। যেখানে আমাদের এতো ভালো রিলেশন সেইখানে আমি তাকে ডিভোর্স দিলাম কিভাবে আর সে আমাকে ডিভোর্স দিলো কিভাবে? আমি মাননীয় সংসদ সদস্যের কাছে প্রকাশ্যে এর সঠিক উত্তর চাই।

ছবি: লিজা আয়শার ফেসবুক থেকে নেয়া। 

এসব বিষয়ে সংসদ সদস্য এনামুল হক বলেন, আমি বিয়ে করেছিলাম বাংলাদেশের আইনে তাকে ডিভোর্সও দিয়েছি। দেনমোহর পরিশোধ করেছি। আমি আমার আগের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে পারবো না? সমস্যা থাকলে সে কোর্টে যাবে। সে একটা চরিত্রহীনা মেয়ে। শুনেছি ৫/৬ টা বিয়ে করেছিলো। আমাকেও ব্লাকমেইল করে বিয়ে করেছে। চাঁদাবাজি করে রাজশাহীতে ৫ তলা বাড়ি করেছে। আমার সাথেও একই কাজ করতে সে এসব করছে। 

তিনি আরো বলেন, বিয়েই করেছি ২০১৮ সালে তাহলে ২০১৫ সালে বাচ্চা হয় কিভাবে? অন্যের বাচ্চার দায় তো আমি নিতে পারিনা। ২৪ এপ্রিল তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। লকডাউনের কারণে হয়তো চিঠি পেতে দেরি হচ্ছে হয়তো।

Related posts

Leave a Comment